অনলাইন ডেস্ক:
শাহ্ মজিদিয়া ইসলামী কমপ্লেক্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর ব্যাবস্থপনায় চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ কমপ্লেক্সে ২০ দিনব্যাপী দারসুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল ৭মার্চ শুক্রবার ৬ষ্ঠ রমজানের আলোচনায় তিনি এইসব কথা বলেন বর্তমান যুগে মানবজাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হলেও নৈতিকতার বিচারে তারা সাধারণ ভাবে পশুত্বের স্তরে নেমে যাচ্ছে। পশুত্ব এবং অজ্ঞতা যত বেশি বৃদ্ধি পায় ইসলামের আবেদনও সেক্ষেত্রে তত বেশি কার্যকর হয়ে থাকে। রাসূলের যুগের জাহেলিয়াত ছিল বিশ্বজনীন। মানবতা ছিল রক্তপিপাসু ও কলহপ্রিয়। এমন মানুষকেই ইসলাম বানিয়েছিল মানব জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত জাতি। সে ইসলাম আজও অবিকৃত। পরশ পাথর এখনো বিদ্যমান, প্রয়োজন শুধু এর সঠিক ও যথার্থ প্রয়োগের।
মাওলানা নাজিমুদ্দিন বলেন ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সকল স্তরে, তা এখনও প্রয়োগযোগ্য। সুন্নাহ্র বাস্তব প্রয়োগ যত বৃদ্ধি পাবে সমাজ ততোই কল্যাণের দিকে এগিয়ে যাবে। এটা সন্দেহাতীতভাবে সত্য যে, সুন্নাতুল্লাহ এবং সুন্নাতে রাসূলের গুরুত্ব বুঝা এবং এর সফল বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে মানবতার মুক্তি কল্যাণ ও সাফল্য। মানবতার দুর্গতির জন্য দায়ী হচ্ছে অবিশ্বাস, ধর্মহীনতা, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা, লাম্পট্য, নীতিহীনতা, অসাধুতা, কামুকতা, অন্যায় অর্জন, ভোগ লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ, পরনিন্দা, অপবাদ প্রবণতা, মিথ্যার বেসাতী, আমানতের খেয়ানত, আত্মম্ভরিতা, অহংকার, দাম্ভিকতা, জবাবদিহিহীনতা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, অপরাধীর পক্ষাবলম্বন করে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অসাধুকে সাধু বানানো ইত্যাদি। সুন্নাতে রাসূল এসব বিশৃংখলার বিরুদ্ধে একটা সফল বিপ্লবের নাম।
অতএব সুন্নাতে রাসূলের প্রয়োগই পারে মানবতাকে এ দুর্নাম থেকে রক্ষা করে, প্রকৃত মানুষের স্তরে পৌছে দিতে। দুঃখজনক হচ্ছে, ক্ষতি যেমন রাতারাতি হয়নি, তেমনি এর থেকে রক্ষা পাওয়াও রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা। রাসুল (সা:) সুন্নাতের অনুসরণের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম সিডিএ চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদের খতিব হযরত আলহাজ্ব মাওলানা নাজিম উদ্দিন। সহকারী শিক্ষক আবদুল মোমেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মজিদী, কমপ্লেক্স এর পরিচালক শাহাজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন মজিদী,হাফেজ মাওলানা ফুরকান প্রমুখ।
Leave a Reply