আজ ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে আসা আ.লীগ নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া উচিত: শুভেন্দু অধিকারী

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

রোববার সন্ধ্যায় কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরে এবিসি অডিটোরিয়ামে ‘খোলা হাওয়া’ নামক সংগঠন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার সাইডলাইনে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি নেতা বলেন, আমি একজন নাগরিক হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানাব, আওয়ামী লীগের যে সব নেতাকর্মী, সমর্থকরা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে এসেছেন, তাদের কারাগারে না পাঠিয়ে যেন রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধসহ বাংলাদেশে যে সমস্ত সংখ্যালঘু মানুষরা রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এবং আওয়ামী লীগের যারা পরিচিত মানুষ তাদেরকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া উচিত। কারণ এরা কেউ রোহিঙ্গা মুসলিম, উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসী নয়।

তিনি বলেন, চার সপ্তাহ আগে ৮৫ বছরের এক হিন্দু নারীকে দুই মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জ মহকুমা আদালত। তার অপরাধ হলো ওই নারীসহ তিনজন প্রাণ বাঁচানোর জন্য অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন। পরে তাকে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে ৬ জন, নদীয়া জেলার রানাঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে ৫১ জন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খড়দহ পুলিশ ছাত্র লীগের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু সকলের তো আর এই দেশ ঘুরে আবার অন্য দেশে যাওয়ার আর্থিক সক্ষমতা নেই।

বিজেপি বিধায়ক বলেন, এ রাজ্যে আশ্রয়কারী রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হয় না। জাভেদ মুন্সী, জাদ সেখের মতো জঙ্গিদের অন্য রাজ্য থেকে পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আবার সেই রাজ্যে প্রাণ বাঁচাতে অন্য দেশ থেকে রাজনৈতিক কিংবা সাধারণ মানুষ পালিয়ে এসে আশ্রয় নিলে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়। তাই এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার উভয়েরই দৃষ্টিপাত করা উচিত।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শুভেন্দুর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার বীণা সিক্রি বলেন, অতীতে বাংলাদেশ থেকে যেসব শরণার্থী ভারতে এসেছেন তাদের এদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই বর্তমানেও যদি এরকম পরিস্থিতি হয় এবং ভারত সরকারের কাছে তারা আর্জি জানায়, তবে সরকারের সহায়তা করা উচিত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান চাই। আমরা বাংলাদেশের শান্তি চাই, আমরা চাই সেখানে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। একইসঙ্গে সেখানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশের প্রবৃদ্ধি ঘটুক তাও চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর