আজ ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে খালাতো মামার হাতে ধর্ষণ ও খুন

Spread the love

চন্দনাইশ  প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক তরুণীকে খুনের পর পালিয়ে গেছে নিকটাত্মীয় যুবক। এসময় ওই তরুণীর বৃদ্ধ নানা-নানীকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ধর্ষণের পর তরুণীকে তার ‘খালাতো মামা’ হত্যা করেছে৷

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গভীর রাতে চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত আরজু আক্তার (২০) চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের বাসিন্দা।

তার নানা আব্দুল হাকিম (৭০) ও নানী ফরিদা আক্তার (৬০) গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের বাড়ি চন্দনাইশ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড দক্ষিণ গাছবাড়িয়া নয়াপাড়া এলাকায়।

ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া যুবক নাজিম উদ্দিন (৩০) সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত ছৈয়দ আহমেদের ছেলে।

আব্দুল হাকিমের বরাত দিয়ে তার প্রতিবেশি স্থানীয় মো. মনজুরুল আলম জানান, আব্দুল হাকিমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। তিন ছেলে বিদেশে থাকেন।

ঘটনার সময় পাকা ঘরের দ্বিতীয় তলায় তিন ছেলের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। আর নিচতলায় আব্দুল হাকিম, ফরিদা, আরজু ও নাজিম। এর মধ্যে আরজু ঈদুল ফিতরের সময় নানার বাড়িতে বেড়াতে যান। আর মঙ্গলবার রাতে নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে যান।

নিহত আরজুর পিতা আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘাতক নাজিমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কামনা করেছেন।

চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘নাজিম হচ্ছে নিহত আরজুর মায়ের খালাতো ভাই। আমরা যতটুকু তথ্য পেয়েছি, গত (মঙ্গলবার) রাতে নাজিম আরজুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তাকে বাঁচাতে নানী এগিয়ে এলে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায় নাজিম। নানীর চিৎকারে নানা এলে তাকেও কোপানো হয়। এরপর নাজিম তার খালা ফরিদা আক্তারের মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।’

কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিহত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে, এটা স্পষ্ট। কী হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বোঝা যাবে। তরুণীকে মুখের ভেতর ওড়না ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে মৃত অবস্থায় আমরা পেয়েছি।’

তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ থানায় রেখেছে। সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে। আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গুরুতর আহত নানী ফরিদা আক্তারের অপারেশন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলছে আর নানা আব্দুল হাকিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর