অনলাইন ডেস্ক:
গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি নামে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসানকে এ অনুমোদন দিয়ে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ঠিকানা রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ী। গ্রামীণ ইউনিভার্সিটির স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি প্রদানের চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৬ অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হলো।
উল্লেখযোগ্য শর্তসমূহ হলো: সাময়িক অনুমতির মেয়াদ হবে অনুমতি দেওয়ার পরবর্তী সাত বছর। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এ বর্ণিত সব বিধান ও শর্ত মেনে চলবে। পাঠদানের জন্য প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট নিজস্ব বা ভাড়াকৃত ভবন থাকতে হবে।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং উক্ত অনুষদের অধীন অন্যূন ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে। প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত শিক্ষক অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের মূল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ছাড়পত্র মঞ্জুরি কমিশনে জমা দিতে হবে।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিবিড় পাঠক্রম এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়নসহ প্রত্যেক বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে অন্যূন এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত তা বা এর লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করবে না এবং সন্ত্রাসী বা জঙ্গি তৎপরতা বা এ জাতীয় কোনো কার্যকলাপে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই কোনো পৃষ্ঠপোষকতা করবে না।
কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত অনুষদ, বিভাগ ও কোর্সে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি এবং শুধু ক্যাম্পাসভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না।
নির্দিষ্ট শহর বা স্থানে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস সীমিত রাখতে হবে এবং অন্য কোনো স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রম পরিচালনা বা কোনো ক্যাম্পাস বা শাখা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিধান, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিদ্যমান ও সময়ে সময়ে জারি হওয়া আদেশ-নির্দেশ, নীতিমালা ইত্যাদি যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালন করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী অস্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের তারিখ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভূমি ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ীভাবে স্থাপন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় বা এর পক্ষে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, চ্যান্সেলরের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, দেশের বাইরের কোনো উৎস হতে কোনো তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে না। অনুরূপ কোনো তহবিল সংগ্রহ করতে হলে সরকারের মাধ্যমে চ্যান্সেলরের কাছে এতদসংক্রান্ত অনুমোদন গ্রহণের প্রস্তাব দাখিল করতে হবে।
Leave a Reply