আজ ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৭ বছর পর বর্ধিত সভা ডেকেছে বিএনপি

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক

দীর্ঘ ৭ বছর পর বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছে বিএনপি।আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের এই বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বর্ধিত সভার তারিখ ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলের টিকেট অর্থাৎ প্রার্থী নন কিন্তু মনোনয়নের জন্য ‘সেকোন্ডারি’ কাগজ পেয়েছিলেন, তারাও বর্ধিত সভায় থাকবেন।’

এছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা অংশ নেবেন বর্ধিত সভায়। বিএনপি ছাড়া ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও থাকবেন সেখানে।

রিজভী বলেন, ‘আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা হবে। দলের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল, তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে এক সঙ্গে এক জায়গায় বসে এই সভাটা করার প্রত্যাশা ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণে এবং একটি মহাআন্দোলন শেষে আমরা এই বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছি।’

বর্ধিত সভা উপলক্ষ্যে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি এবং ছয়টি উপকমিটি (ব্যবস্থাপনা, অভ্যর্থনা, আপ্যায়ন, শৃঙ্খলা, মিডিয়া ও চিকিৎসা সেবা কমিটি) গঠন করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, বর্ধিত সভার স্থান ঠিক হলে পরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

দীর্ঘদিন বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না, বর্ধিত সভাটি কাউন্সিলের বিকল্প কি না জানতে চাইলে বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘না, বর্ধিত সভাটি কাউন্সিলের বিকল্প নয়। বর্ধিত সভা সবসময় হয়ে থাকে, ইতোপূর্বেও হয়েছে। আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি কেন এই বর্ধিত সভাটি। যেকোন আন্দোলনের শেষে, নির্বাচনের শেষে অথবা প্রারম্ভে একটা মতামত জানার জন্য, বর্তমান তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীরা কী ভাবছেন, তৃণমূলের ভাবনা চিন্তাগুলো জাতীয় নেতারা শুনবেন, অবহিত হবেন, এই কারণে বরাবরই বর্ধিত সভা হয়ে থাকে। সেই দৃষ্টান্তকে সামনে রেখে এই বর্ধিত সভা হতে যাচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সৈয়দ শাহিন শওকত উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা ডেকেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর তিনদিন পরে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যান। ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পরে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর