মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশঃ
যতদিন দায়িত্বে থাকবো, ততদিন মানুষের সেবা করে যাবো- চন্দনাইশে প্রশংসায় ভাসছে ২নং জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান রহিমা বেগম। বিগত ২০২২ সালে স্থানীয় নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২২ সালের ৫ই জানুয়ারি ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে কলম মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুর নাহার (মাইক), বেবি আকতার (বই) কে হারিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনে জয়ী হন। বিগত ৫ই আগস্ট সরকারের পতনের পর জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়মিত অনুপস্থিত থাকার কারণে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রহিমা বেগম জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন।
দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে ছয় মাস যাবৎ কোনো ধরণের সরকারি বরাদ্দ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে যে সমস্থ প্রকল্প স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করা হয় তা বরাদ্দের অভাবে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে এলাকার সড়ক সংস্কার, ডেনেজ ব্যবস্থা, টিউবওয়েল সমস্যা ইত্যাদি কর্মকান্ড হচ্ছে না। পারিবারিক সমস্যা, সামাজিক বিচার ব্যবস্থা, যেকোনো সমস্যা পরিষদ কিংবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এসব সমস্যার সমাধান করা হয়। সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে যে মানুষটি বিশেষভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন সে অন্য কেউ নয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিমা বেগমের স্বামী ব্যবসায়ী খাইরুল বশর এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
সরেজমিনে ২নং জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রতিবেদককে এলাকার সেবা নিতে আসা অনেকের সাথে আলাপ করেন। আলাপচারিতায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিমা বেগমের সেবার প্রশংসা সকলেই করেছেন এবং বলেছেন এ ধরণের সেবা প্রদানকারী জনগণের সেবিকা জোয়ারা ইউনিয়নে দরকার।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিমা বেগম বলেন, আমি একজন সেবক। জনগণের সেবা করে আমি যাব। বর্তমানে খুব সুন্দরভাবে জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। তিনি ইউনিয়নবাসী ও সকল নারী পুরুষের নিকট দোয়া চেয়েছেন এবং আল্লাহ তায়ালার নিকট ইউনিয়ন বাসীর শারীরিক সুস্থতা ও এলাকার শান্তি কামনা করেছেন। আমিন
Leave a Reply