নিজস্ব প্রতিবেদক : অতি ফলনের বিড়ম্বনায় সাদা ফুলকপির চরম মন্দা বাজার। দুই টাকা পাঁচ টাকা কেজি হওয়ায় ক্ষুব্ধ চাষীরা ক্ষেতেই কেটে কেটে নষ্ট করে ফেলেছেন সাদা ফুলকপি।গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন দৃশ্য পট আকসার দেখেছে জনসাধারণ। বর্তমানে ক্রেতা সাধারণের রুচিতেও সাদা ফুলকপির যেন সাদামাটা অবস্থা। তবে এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে কালার ফুলকপি। হলুদ, বেগুনি, লালচে রঙের এসব ফুলকপি দেখেই ক্রেতাদের চোখ আটকে যাচ্ছে। সাদা ফুলকপি আর কালার ফুলকপি দামেও আকাশ পাতাল তফাৎ। সাদা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫/২০ টাকায়। আর কালার ফুলকপির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০/১৫০টাকায়।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার , আন্দরকিল্লা সিরাজউদ্দৌলা রোড কাঁচাবাজার, মোমিন রোড কাঁচাবাজার, চকবাজার,বহদ্দারহাট, পাহাড়তলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতাদের কেউ কেউ অন্য সবজির পাশাপাশি ৮/১০টি কালার ফুলকপি রেখেছেন। হলুদ, বেগুনি, লালচে রঙের এসব ফুলকপি দেখে ক্রেতারা কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে বিক্রেতাদেরকে নানা প্রশ্ন করছেন।
কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা জয়নাল আবেদিনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এগুলো সাধারণত বিত্তবান শৌখিন ক্রেতারা কিনছেন। ঐ যে কথায় বলে, শখের তোলা ৮০ টাকা। সীতাকুণ্ড ও দোহাজারীর চাষীদের থেকে সংগ্রহ করে পাইকাররা এগুলো শহরে নিয়ে আসে। আমরা তাদের কাছ থেকে কিনি। আবার সপ্তাহ খানেক ধরে কালার ফুলকপি রিয়াজুদ্দিন বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে। হলুদ ও বেগুনি কালারের ফুলকপির কেজি ১২০ টাকা। লালচে বা মিষ্টি কালার কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরের সিরাজুদ্দৌলা রোডস্থ দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড অফিস – জয়নাব কলোনি সংলগ্ন কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো ওসমান জানান, কালার কপি দুয়েকটা রেখেছি শোএর জন্য। কাস্টমাররা এগুলো দেখলে দাঁড়াবে, কালার ফুলকপি সম্পর্কে জানতে চাইবে। এগুলো না কিনলেও কমন সবজি কিনবে। শৌখিন কাস্টমার, বিয়ে সাদিতে সবজি আইটেমে আজকাল কালার কপি ব্যবহৃত হচ্ছে।
জানা গেছে, শঙ্খনদীর চরাঞ্চল চন্দনাইশের দিয়াকুল,ধোপাছড়ি সাতকানিয়ার ধর্মপুর, চরতি, সীতাকুন্ড, বারৈয়সরহাটসহ সংলগ্ন এলাকার চাষীদের কেউ কেউ নিতান্ত শখের বশে কালার ফুলকপির চাষ করছেন।
কালার ফুলকপির চাষাবাদ কষ্টসাধ্য। এগুলো সাধারণত থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামী জাত। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ জাতের ফুলকপি চাষে অধিক যত্ন নিতে হয়। শ্রমের তুলনায় ফলনও তেমন আশাপ্রদ নয়। তাই এখনো ব্যাপক চাষাবাদ শুরু হচ্ছে না।
Leave a Reply