আজ ২০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দেশের সংবিধান সংস্কারে আমার কিছু নীতিমালা

Spread the love

আফছার উদ্দিন লিটন

২০২০ সালে অমর একুশে বইমেলায় আমার প্রথম বই ‘তবুও এগিয়ে যায় বাংলাদেশ’ প্রকাশিত হয়। ওই গ্রন্থে –‘শক্তিশালী হোক দুদক’ শিরোনাম প্রবন্ধে ১৫ এবং ১৬ পৃষ্ঠায় আমি লিখেছি- “আমাদের দেশের যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা, তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে খুবই নিম্নমানের। বাংলাদেশের রাজনীতি অনেকটা প্রতিহিংসা মূলক। যেখানে কাদা ছুড়াছুড়ি হয় বেশি। যা দেশের জনগণকে হতাশ করছে। প্রশ্নবিদ্ধ গণতন্ত্র এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে রয়েছে নাগরিকদের মতভেদ ও সংশয়। দেশের নাগরিকরা সঠিকভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইউপি নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী দলের প্রার্থীরা বারবার একই আসন ও একই জায়গা থেকে বারবার নমিনেশন পেয়ে মনোনীত হচ্ছেন। কাজেই একই ব্যক্তি এবং তার বংশধরগণ বারবার মনোনীত এবং নির্বাচিত হওয়ার জন্য সেই দল কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল থেকে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি মনোনীত হতে পারছেন না। এটি একটি চরম দুর্নীতি এবং গণতন্ত্র বিরোধী কাজ।”

“গণতন্ত্র মানে সকলের সমান অধিকার। পূর্বেই উল্লেখ করেছি একই ব্যক্তি এবং তাদের বংশধররা বারবার নির্বাচনে দাঁড়ালে ছোট দলগুলো থেকে মেধাবী, শিক্ষিত ও যোগ্য রাজনীতিবিদরা ওঠে আসতে পারছে না। এখানেই আমাদের রাজনৈতিক এবং নির্বাচনি ব্যবস্থার মূল সমস্যা। এ অনিয়ম দূর করতে হবে দেশ ও জাতির বৃহত্তর উন্নয়নের স্বার্থে। ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, এমপিরা ক্ষমতার লোভ ছাড়তে পারে না। এসব স্বার্থপর রাজনীতিবিদরা তাদের পুরনো এবং বর্তমান আসন ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমাদের দেশের মন্ত্রী, এমপিরা গণতন্ত্রের সঠিক সংজ্ঞা বুঝতে রাজি নয়।
পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। এ দুই দেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে একজন সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে নয় বছর কিংবা এগারো বছর ক্ষমতায় থাকতে পারে। এরপর তাদের দল থেকে তিনি আর নমিনেশন না পাওয়ার কারণে নির্বাচিত হতে পারেন না– সেদেশের গণতন্ত্র এবং সংবিধান অনুযায়ী। কিন্তু তাদের দল বিলুপ্ত হবে না। ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং লেবার পার্টি থেকে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নতুন প্রার্থী প্রস্তুত করবেন।”

“এ দুই দেশ তাদের সংবিধান, সংসদ ও গণতন্ত্র নীতিমালা অন্যুায়ী সকল দলের প্রার্থীকে নির্বাচন করার জন্য দুইবার সু্যােগ দেবেন। আমাদের দেশেও প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যর ন্যায় সকল নির্বাচনের জন্য দুইবারের বেশি কেউ মনোনীত এবং নির্বাচিত হতে পারবে না; এমন আইন অচিরেই বাস্তবায়ন করা উচিৎ। এ যদি হয় দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ হবে। জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। দিনের ভোট রাতে হবে না। দিনেই হবে। ভোটারবিহীন নির্বাচন হবে না। সিলেক্টেড নির্বাচন হবে না। জনগণের ভোটারবিহীন নির্বাচন হবে না। তরুণ প্রজন্মকে ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হবে না। জনগণের মূল্যায়ন হবে। কারণ, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ ভোট দিতে পারলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশ সুখ ও শান্তিতে সমৃদ্ধ হবে। দুর্নীতি হয়তো কিছুটা মুক্ত হবে। আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশে আর স্বৈরশাসকের স্বৈরাতন্ত্র, একনায়ক তন্ত্র ও রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না। তাই এ আইনটি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের প্রতি অনুরোধ থাকলো।”

আরও যে বিষয়গুলো সংস্কারে নিয়ে আসতে হবে, তা হলো-

১. সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হলে মিনিমাম প্রার্থীকে ডিগ্রি (স্নাতক) পাস হতে হবে। শুধু তাই নয় ওই প্রার্থী বিএনপি, জামাত, হেফাজত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলন, এলডিপি, আন্দালিব রহমান পার্থর দল, আসম আবদুর রবের দল, মাহমুদুর রহমান মান্নার দলসহ বাম যে দলেরই হোক না কেন মনোনয়ন নেয়ার ক্ষেত্রে ওই যোগ্যতা তার কাছে থাকতে হবে।

২. কোনো ব্যবসায়ী সংসদ সদস্য হতে পারবে না। আর মূর্খ চসিকের সাবেক মেয়র মনজুরুল আলম বলদ এমপি দিদারুল আলম, সালমান এফ রহমানের মতো ব্যক্তিদের টাকা নিয়ে মনোনয়ন দেয়া এবং সংসদের মতো পবিত্র জায়গায় স্থান করে দেয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, সামিট গ্রুপ, মোস্তফা হাকিম গ্রুপ, আরামিট গ্রুপ, হলমাক গ্রুপ সহ এ ধরণের যত মাফিয়া ব্যবসায়ী রয়েছে তাদেরকে জাতীয় নির্বাচনসহ কোনো নির্বাচনে পার্থী করা যাবে না। অতীতে বিএনপি নেতা আমির খসরু এভাবে বল্লা মনজুরুল আলম এবং শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা ও শেখ তাপস বল্লা বলদ দিদার থেকে টাকার বস্তা নিয়ে এমপি বানিয়েছেন—তা এবার কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমির খসরু টাকা নিলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। কারণ, অযোগ্যদের সংসদ সদস্য বানানো মানে ছাত্র সমন্বয়ক এবং দেশের সকল শিক্ষিত লোকদের অবমূল্যায়ন করা। তবে শিক্ষিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রাজনীতি করার অধিকার দেয়া যেতে পারে। তাই এ নীতিমালা অতি গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কারে রাখা উচিত।

৩. একজন নির্বাচিত প্রার্থীর কি পরিমাণ সম্পদ থাকতে পারে তাও সংবিধান সংস্কারের প্রধানকে সীমাবদ্ধ করে দিতে হবে। ওই নির্বাচিত প্রার্থীর ব্যক্তিগত সম্পদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলে তার সম্পূর্ণ বিবরণ প্রতিবছর দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে।

৪. প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সব সেক্টরের কাউন্সিলর দুই বারের বেশি নির্বাচিত হতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমনে এবং গরীব মানুষের ডাল ভাতের নিশ্চয়তায় এ নীতিমালার কোনো বিকল্প নেই।

৫. নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে প্রার্থীর মনোনয়ন দেয়া এবং নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর বয়স ন্যূনতম হওয়া উচিত বাইশ থেকে পঁচিশ এবং সর্বোচ্চ পয়ষট্টি থেকে সত্তর।

৬. যারা অতি ভারত পন্থী তাদেরকে সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ না দেয়া। কেননা ভারত স্বাধীনতা উত্তর এবং পরবর্তী সময়ে শুধুমাত্র একটি দলকে বারবার সমর্থন দেয়ায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য দোষী।

৭. ভারত আমাদের দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এমনকি দেশের জনগণের রুটি-রুজির বিরুদ্ধে কিংবা দেশের জনগণের শান্তি বিনষ্ট করে এমন হতে দেয়া যাবে না।

৮. প্রত্যেক নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি কিংবা স্পিকারের মাধ্যমে কোরআন শরীফ ধরে শপথ করতে হবে। হিন্দু কিংবা অন্য ধর্মাবলম্বী হলে পুরোহিত দ্বারা তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শপথ নিতে হবে। নতুন শপথে তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে পারবে না। যখন -তখন চাইলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে গরীব মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করা যাবে না বলে পাঠ করতে হবে। সংসদে আগের স্পিকারের শপথ বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ শপথনামা দুটি হতে হবে

৯. ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোটা সংস্কার আন্দোলন ও সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্র, জনতা, শিশু-কিশোরদের নির্বিচারে গুলি চালিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করার জন্য আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এমতাবস্থায় তাদেরকে নির্বাচন ও রাজনীতি করার অধিকার দেয়া যায় না।

১০. ২০০৯ সালের প্রথম দিক থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম, খুন ও আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা করার জন্য আওয়ামীলীগ সহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এ সকল মুখোশধারী ব্যক্তিরা দেশের জনগণের সাথে এমন বিশ্বাসঘাতক আচরণের জন্য তাদেরকে আজীবনের জন্য নির্বাচন ও রাজনীতি করার অধিকার দেয়া যায় না।

১১. ২০০৯ সালের শুরুতেই পিলখানা (বিডিআর- সেনাবাহিনী বিদ্রোহ) হত্যাকান্ডে ৫৭ জন সেনা সদস্যকে হত্যার জন্য এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজত ইসলামির রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেয়া, মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া, এবং ওই সমাবেশে তাদের অগণিত সদস্যকে খুন ও গুম করার অপারাধে আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এমতাবস্থায় তাদেরকে নির্বাচন ও রাজনীতি করার অধিকার দেয়া যায় না।

১২. ২০০৯ সালের প্রথম দিক থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া, অর্থনৈতিক মুক্তি কেড়ে নেয়া, জনগণের শান্তি কেড়ে নেয়া এবং বিরোধীমতের সাংবাদিক দমনের জন্য গুম, খুন ও কণ্ঠ রোধ করার জন্য ডিজিটাল আইন (৫৭ ধারা) সৃজন ও আইসিটি আইন সৃজনের অপরাধে আওয়ামীলীগসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।

১৩. ২০০৯ সালের প্রথম দিক থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণতন্ত্র হত্যার জন্য আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।

১৪. ২০০৯ সালের প্রথম দিক থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, শামীম ওসমান, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আসাদুজ্জামান খান কামাল, লোটাস কামাল, তাজুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ ওরফে ডিবি হারুন, সাবেক পুলিশের দুর্নীতিবাজ আইজিপি বেনজীর আহমদসহ শতশত আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ নেতারা দেশ থেকে ১১ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অপরাধে জন্য আওয়ামীলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।

১৫. কোনো রাজনৈতিক দলকে মুক্তিযুদ্ধের ট্যাগ কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে আর রাজনীতি করতে দেয়া যাবে না। রাজনীতি হবে জনগণের কল্যাণের জন্য। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। জনগণের কর্মসংস্থানের জন্য। এক কথায় সংবিধানের মূলনীতি অনুযায়ী রাজনীতি হতে হবে জনগণের জন্য। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, মোদি এবং ভারতের কংগ্রেসকে ব্যবহার করে একনাগারে চার টার্ম ক্ষমতায় থেকে জনগণকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জনগণের গণতন্ত্র হত্যা করা যাবে না।

১৬. দিনের ভোট রাতে এবং দেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে আর সিলেক্টেড নির্বাচন ও ডামি নির্বাচন করা যাবে না।

১৭. রাশিয়া শুধু আওয়ামীলীগের সাথে বন্ধুত্ব করবে তা হতে পারে না। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাশিয়াকে বিএনপি, জামাতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ভাল সর্ম্পক রাখতে হবে। অন্যথায় রাশিয়াকে আমাদের বন্ধু তালিকা বাদ দিতে হবে।

১৮. দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য অন্তত ২০ জন ছাত্রকে জাতীয় সংসদে নিয়ে আসতে হবে। তারা যদি নির্বাচিত হতে নাও পারে ট্যাকনোক্র্যটে নিয়ে আসতে হবে।

১৯. দেশের জনগণ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে পছন্দ করতো না। তবুও তিনি লজ্জা শরমহীনভাবে সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই শেখ হাসিনা সরকার হোক আর যেই সরকার হোক জনগণ না চাইলে জোর করে ক্ষমতায় থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে চিনিমিনি খেলা যাবে না। এমন আচরণ করলে ওই স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

লেখক ও সাংবাদিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর