আজ ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চন্দনাইশে বৈলতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা ও প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

Spread the love

মো. নুরুল আলম, চন্দনাইশঃ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সভা ও প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বৈলতলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাধারণ সভা ও প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ সভা ও প্রীতি সমাবেশে ওয়ার্ড সভাপতি অধ্যাপক মুজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে বৈলতলী ইউনিয়ন জামায়েতের যুব বিভাগের সভাপতি এম.এ ওয়াহেদ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়েত ইসলামী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, আন্দরকিল্লাহ শাহী মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা আনোয়ারুল হক আযহারী, চন্দনাইশ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আয়ুব আলী, দক্ষিণ জেলা জামায়েত নেতা অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম, চন্দনাইশ উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা কুতুবউদ্দিন, ইউনিয়ন জামায়েত আমির কে.এম. ইমরান বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়েত নেতা মো: রাশেদ ভূঁইয়া, ওয়ার্ড জামায়েতর সেক্রেটারি মাওলানা ফিরোজ, ইউনুস মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর সবুর, ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি করিম উল্লাহ, ইউনিয়ন ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা ফোরকান এবং থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীল সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন দিশারী শিল্পী গোষ্ঠী চন্দনাইশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দক্ষিণ জেলা জামায়েত ইসলামী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক তাঁর বক্তব্যে পবিত্র কুরআনের রেফারেন্স তুলে ধরে বলেন, কোন নেতা আলেম ওলামা যে হোক না কেন অন্যায় কুরআন হাদিস বিরোধী কোন নির্দেশ দিলে সেটা পালন করবেন না, যদি কুরআন হাদিসের আলোকে হয় তাহলে পালন করবেন। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বানী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে মানুষকে আল্লাহর পথে এনে আল্লাহর দীনকে বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দেন।

আন্দরকিল্লাহ শাহী মসজিদের প্রধান ইমাম মাওলানা আনোয়ারুল হক আযহারী, তিনি বলেন নৈতিকতা ও স্বচ্ছতা না থাকার কারণে প্রতিটি সেক্টরে যোগ্য ও দক্ষ ব্যক্তিকে দায়িত্ব না দিয়ে ব্যক্তিগত পছন্দ ও দলীয় পছন্দের ভিত্তিতে লোক বসানোর কারণে যাবতীয় অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। অথচ সাংবিধানিক পদে ও সরকারি চাকরিতে নাগরিকদের মধ্যে হতে যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া উচিত ছিল। এত করে দেশের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস হতো না নাগরিকরা সুন্দর সেবা পেত।

চন্দনাইশ উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা কুতুবউদ্দিন বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আমাদের তিন জন মন্ত্রী ছিল যারা তিনটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তাদের দুই টাকার দুর্নীতি পাওয়ার যায়নি। এথেকে বুঝা যায় ইসলামের মাধ্যমে এই দেশে সৎ লোক তৈরী করা যায়। এই দেশে মানুষ সব দলের শাসন দেখেছে আগামীতে মানুষ ইসলামী দলের শাসন দেখার অপেক্ষায় আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর