অনলাইন ডেস্ক
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নতুন ফিচার চালু করেছে ইউটিউব। ফিচারটি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্সপ্রাপ্ত গানকে পছন্দমতো রিমিক্স করা যাবে। গান নির্বাচনের পর এর মুড বা জনরাও পরিবর্তন করা যাবে। এরপর ইউটিউবের 'ড্রিম ট্র্যাক এআই' টুল ব্যবহার করে এই রিমিক্সকে ৩০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের নতুন সাউন্ডট্র্যাকে রূপান্তর করে তা শর্টসে ব্যবহার করা যাবে।
তবে ফিচারটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই এখন নির্দিষ্ট কিছু নির্মাতা সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারছেন।
গত বছর 'ইউটিউবস ড্রিম ট্র্যাক' টুল চালু করে গুগল। এতে টেক্সেটের মাধ্যমে নির্দেশনা বা প্রম্পট দিলে আগের থেকে রেকর্ডকৃত ভয়েসের ওপর নির্ভর করে গান কম্পোজ করে দেয়। ড্রিম ট্র্যাকের এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য চার্লি পুথ, চার্লি এক্সসিএক্স, ডেমি লোভাটো এবং জন লিজেন্ডের মতো কিছু শিল্পী তাঁদের গান ব্যবহারের জন্য সম্মতি দিয়েছেন।
ইউটিউব বলছে, পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীরা প্রথমে একটি উপযুক্ত গান বেছে নেবেন। তারপর নির্দেশনা বা প্রম্পট দিয়ে জানাবেন কীভাবে নতুনভাবে গানটি সাজাতে চান। এরপর এআই প্রযুক্তি সেই অনুযায়ী গানটি ৩০ সেকেন্ডে দৈর্ঘ্যের সাউন্ডট্র্যাকে পুনর্গঠন করবে। পরবর্তীতে সেট শটর্স ব্যবহার করা যাবে। নতুন সাউন্ডট্র্যাকে মূল গানের নাম এবং এই গানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগীতশিল্পীদের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এ ছাড়া গানটি এআই দিয়ে রিমিক্স করা হয়েছে সেটিও স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে।
তবে এই পরীক্ষায় কোন কোন গান ব্যবহার করা হবে বা ইউটিউব কোনো মিউজিক লেবেলগুলোর সঙ্গে কাজ করছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি।
গত জুন মাসে প্রকাশিত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউটিউব বড় মিউজিক লেবেলগুলোর গান এআই মডেলের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যান্য ড্রিম ট্র্যাক ফিচারগুলোর মতো নতুন 'রিমিক্স' টুলটিও গুগলের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল লাইরার এর ওপর
ভিত্তি করে কাজ করবে। ব্যবহারকারীর 'টেক্সট প্রম্পট' অনুযায়ী সংগীত তৈরি করার জন্য একে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এটি নতুন ছবি বা ভিডিও তৈরির এর মতোই কাজ করবে। তবে এখানে আউটপুট 'অডিও' আকারে হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ ও ডিজিটাল ট্রেন্ডস