পটিয়া প্রতিনিধ
পটিয়ার শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে পটিয়ার দুই কীর্তিমান বীরকন্যা প্রীতিলতা ও মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ এর কর্ম ও কীর্তিগাথা নিয়ে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় “কীর্তিমান স্মরণ” অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত কীর্তিমান স্মরণ অনুষ্ঠানে আয়োজনের মধ্যে ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, তাঁদের কর্ম ও জীবনী নিয়ে আলোচনা, পুরষ্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের সহযোগিতা করে এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া।
একাডেমির নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ ফারুক রবির সঞ্চালনায় ও নির্বাহী সদস্য এস এম হারুনর রশীদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা ও কথামালায় অংশ নেন বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্ত নাট্যকার মিলন কান্তি দে, এপেক্স বাংলাদেশের জাতীয় সচিব এপেক্সিয়ান সুফি মনি, আবৃত্তি শিল্পী রাজিউর রহমান বিতান, এপেক্স ক্লাব অব পটিয়া ফাউন্ডার এন্ড চাটার্ড প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মিয়া হাসান, এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুর রেজা সবুজ ও আবদুর রহীম খন্দকার।
নাট্যকার মিলন কান্তি দে বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতা ও মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ক্ষণজন্মা কীর্তিমান। তাঁদের অবদান দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত। পটিয়ার মেয়ে বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে আন্তবিসর্জন দিয়ে প্রমান করেছেন দেশপ্রেমের উর্ধে কিছু নাই। দেশের মুক্তি সংগ্রাম ও দেশ গড়ার কাজে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকা চলবেনা। পটিয়ার আরেক কৃতি সন্তান আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ আড়াই সহস্রাধিক পুঁথির পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন এবং ছয় শতাধিক গবেষণামূলক মেীলিক প্রবন্ধ রচনা করেন। এপেক্সিয়ান সুফি মনি বলেন, বীরকন্যা প্রীতিলতার দেশপ্রেমিক বর্তমান সমাজে বিরল। বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত পুঁথি গবেষক ও সংগ্রাহক মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ এর হাত ধরেই বাংলার পুঁথি সাহিত্য নবজীবন লাভ করে।
একাডেমির নির্বাহী সদস্য এস এম হারুনর রশীদ বলেন, প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি শুরু থেকেই শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পটিয়া ইতিহাস ও ঐতিহ্য সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। আজকের কীর্তিমান স্মরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীরা পটিয়ার এই দুই কিংবদন্তি সম্পর্কে জানতে পারবে। তাঁদের কর্ম ও জীবন সম্পর্কে জানানোর জন্য আয়োজন করা হয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
পরে অতিথিরা রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন। সেই সাথে অংশগ্রহণকারী সবাইকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির শিক্ষার্থীরা একক ও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন।