নিজস্ব প্রতিবেদক
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মতিয়া চৌধুরী মারা যান বলে তার মামা সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জানা যায়, মতিয়া চৌধুরী দীর্ঘ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝে তাকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রসঙ্গত, মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
তিনি ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রুষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সরকারের মেয়াদেও সংসদের উপনেতার দায়িত্বে ছিলেন বেগম মতিয়া চৌধুরী।