অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় নাহিদ, সারজিস, বাকেরসহ সমন্বয়কদের যে ম্যাচুরিটি দেখেছি সেটা মুগ্ধ করার মতো। আমরা খুবই লাকি যে আমরা শুধু অভ্যুত্থানের নেতা পাইনি, আমার মনে হয় আমরা রাষ্ট্র গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি।’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনার পর বেরিয়ে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাবির আইন বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, ‘তালিকা এখনই প্রকাশ করা হবে না। সংখ্যাটা কত হবে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিচুয়েশনে এই সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে এই সরকারকে বৈধতা দেওয়ার বিভিন্ন সাংবিধানিক রীতি আছে, যে নিয়ম আছে সেটি ফলো করা হবে।’
ওই বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হলে রাষ্ট্রপতি তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি।’ উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন।
সংকট থেকে উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক।