আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন কারিকুলাম করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের মেধা বিকাশে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। আর দারিদ্র্য মুক্তির মূল শক্তি হবে শিক্ষা। আজ বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব করা হবে। সুষম-জনকল্যাণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক হবে আজকের শিশুরা। প্রযুক্তি-জ্ঞানসম্পন্ন নতুন প্রজন্মই দেশকে এগিয়ে নেবে সমৃদ্ধির দিকে। আর তাই কোমলমতি শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্কুল ফিডিং কার্যক্রমটা কমিউনিটিভিত্তিক করতে হবে। পুষ্টিকর বিস্কুটের স্বাদে চকলেট-ভ্যানিলা ফ্লেভার দিতে বলেছি। স্কুলে যে বিস্কুট দেয়, সেটাতে কোনো টেস্ট ছিল না তেমন। বাচ্চারা সেটা খেতেও একঘেঁয়েমি বোধ করত। নিজে টেস্ট করে, আমি এ বিস্কুটের স্বাদ বদলানোর নির্দেশ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছরের করার পরিকল্পনা করছে সরকার। শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা নয়, সার্বজনীন মানসম্পন্ন শিক্ষা চায় সরকার।

গত ১৫ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষকের সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।

এবারের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শিশুবান্ধব প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’। ২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পদক নীতিমালায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কয়েকটি নতুন পদক সংযোজন করে মোট ১৮ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে নিজ সংস্কৃতির উন্নয়ন, আত্ম-উন্নয়ন, আত্ম-নির্ভরশীলতা অর্জন এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজ দেশের সংস্কৃতি উন্মোচন করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর