বাঁশখালীর উপজেলা পরিষদ, আদালত ভবন ও প্রধান সড়কে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। এই কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার। বৃক্ষপ্রেমী নিজাম উদ্দিনের অর্থায়নে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসুচী শুরু হয়।
বৃক্ষপ্রেমী মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকায় বনজ, ফলদ ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করেন।
সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে গত সোমবার বাঁশখালী নির্বাহী অফিসারের সহযোগীতায় মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন এর আয়োজনে ৫০০শতাধিকের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল উপজেলা কার্যালয়,আদালত ভবন ও বাঁশখালীর প্রধান সড়কের পাশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী আশেপাশের রাস্তায় শতাধিক চারা রোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে।
আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার। এতে মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন বলেন বনজ, ফলদ ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করছি। তিনি প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষরোপন করে থাকেন।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে যা জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তীব্র তাপদাহের ফলে এবং প্রকৃতি ও পরিবেশের মাঝে আজ মানুষের অত্যাচারে প্রকৃতি দারুণভাবে রুদ্ররূপ ধারণ করেছে। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, বন ধ্বংস আর পাহাড় কাটার ফলেই প্রকৃতি ক্ষেপে উঠেছে ব্যাপকভাবে। প্রকৃতির এই রুদ্র আচরণ থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য বৃক্ষরোপণ করা অতীব জরুরি। তাহলেই হয়তো প্রকৃতি পাবে আপন পরিবেশ। তাপদাহ কমে আসবে ভূমন্ডল থেকে।
মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন বলেন, পরিবেশ দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে ৫০০ শতাদিক বৃক্ষরোপন কর্মসূচী শুরু করেছে। আমাদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১২-১৩ দিন চলমান থাকবে।