স্পোর্টস ডেস্ক
ইকুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনা দলে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। যেখানে সর্বশেষ দুটি প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে চোটের কারণে মেসি ছিলেন না। আর এই মহাতারকার ফেরাটা রঙিন করে রাখলেন তারেই বন্ধু-সতীর্থ আনহেল দি মারিয়া।
কোচ লিওনেল স্কালোনি অবশ্য মেসিকে শুরুর একাদশে রাখেননি। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে মেসি গোল না পেলেও দি মারিয়ার ৪০ মিনিটে করা গোল ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা।
আজ সোমবার শিকাগোর সোলজার ফিল্ড স্টেডিয়ামে ৪-৩-৩ ক্ল্যাসিক ফরমেশনে ম্যাচ শুরু করে আর্জেন্টিনা। এদিন প্রথম মিনিট থেকেই দি মারিয়া এবং হুলিয়ান আলভারেজকে দেখা যায় হাই প্রেস করে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে। অন্য দিকে শক্তিশালী লো ব্লক তৈরি করে আর্জেন্টিনার আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করে ইকুয়েডর।
প্রীতি ম্যাচ হলেও ধীরে ধীরে এই ম্যাচে উত্তাপও বাড়তে থাকে। হুটহাট দুই দলের মধ্যে উত্তপ্ত পরিবেশও তৈরি হচ্ছিল, যদিও তা বড় কোনো সমস্যা তৈরি করেনি। ১৯ ও ২১ মিনিটে পরপর দুটি সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা, তবে সেগুলো গোলে রূপান্তরিত হয়নি।
ম্যাচে একের পর এক আক্রমণে ইকুয়েডরের রক্ষণকে কোণঠাসা করে রেখেছিল আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত যার ফল তারা পায় ম্যাচের ৪০ মিনিটে। রদ্রিগো দি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে ক্রিস্টিয়ান রোমেরো বাড়িয়ে দেন দি মারিয়াকে। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন কোপা আমেরিকার পর অবসর নিতে যাওয়া দি মারিয়া।
খেলার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে থেকেই সাইডলাইনের কাছাকাছি জায়গায় গা গরম করতে দেখা যায় মেসিসহ একাধিক আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে। আর যথারীতি এ সময়ও মাঠের খেলায় দাপট ছিল আর্জেন্টিনার। বারবার আক্রমণে গিয়ে ইকুয়েডরকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছিল তারা। ৪৯ মিনিটে সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। তবে এ যাত্রায় পাওয়া হয়নি দ্বিতীয় গোলের দেখা। ৫৬ মিনিটে দর্শকদের হর্ষধ্বনির মধ্যেই দি মারিয়ার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি।
মেসি নেমেই চেষ্টা করেন নিজের ছাপ রাখতে। তার পায়ে বল যেতেই ‘মেসি’, ‘মেসি’ ধ্বনিতে কেঁপে উঠছিল গোটা স্টেডিয়ামও। এর মধ্যে ইকুয়েডর অবশ্য চেষ্টা করে পাল্টা আক্রমণে গিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরাতে। যদিও তাদের সেসব আক্রমণ পেরোতে পারছিল না আর্জেন্টিনার শক্ত রক্ষণ-দেয়াল। শেষ পর্যন্ত এক গোলের লিডটা ঠিকই ধরে রাখে তারা এবং জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।