আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় কেড়ে নিল ১২ প্রাণ

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক

গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ। আজ রবিবার হঠাৎ বৃষ্টি জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনলেও বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় কেড়ে নিয়েছে ১২ জনের প্রাণ। স্বস্তির বদলে এখন মাতম চলছে সেসব পরিবারে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, ঝালকাঠীতে দুই নারীসহ তিনজন, পটুয়াখালীতে দুইজন নিহত হয়েছেন। পিরোজপুর, খুলনা ও সুনামগঞ্জে একজন করে মারা গেছেন। ভোলায় দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া বজ্রপাতে নেত্রকোনার রাজঘাট হাওরে একজন ও রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে

ঝালকাঠীতে বজ্রপাতে নিহতরা হলেন হেলেনা বেগম (৪০), মিনারা বেগম (৩৫) ও মাহিয়া আক্তার ঈশানা (১১)। এ ছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলে সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক নারীর ঘরে গাছচাপায় মৃত্যু হয়। একই উপজেলায় রাতুল শিকদার নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় বজ্রপাতে ওবায়দুল গাজী (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পিরোজপুরে জেলায় ঘরচাপায় রুবি আক্তার নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জে ঝড়ের সময় গাছ পড়ে মো. আক্তর হোসেন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভোলার লালমোহনে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ঘরের উপর পড়ে হারিস নামের এক ভিক্ষুক ও বজ্রপাতে বাচ্চু নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানিয়েছেন, তার জেলায় যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হবে। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে পরে জানানো হবে।

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী বলেন, ‘আমাদের কাছে চারজনের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে। পটুয়াখালী ও ভোলায় ঝড় ও বজ্রপাতে দুইজন করে মারা গেছেন বলে তথ্য এসেছে। বাকি জেলায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

খুলনা বিভাগীয় কমিশানের সচিব ইসমাল হোসেন বলেন, ‘খুলনা জেলায় একজনের মৃত্যুর খবর আছে। বিভাগীয় তথ্য এখনও আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি। জেলা থেকে হতাহত ও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে পাঠালে আমরা পুরো তথ্যটা জানাতে পারব।’

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি প্রাথমিক হিসাব। মৃতের সংখ্যা ঠিক থাকলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর