সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরের উত্তর কাট্টলির প্রস্তাবিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে প্রথমবারের মতো এখানের অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের জানানো হয় শ্রদ্ধা।
পরে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ শুরু হয়।
কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সহ পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা।
বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। গৌরবময় লাল সবুজের পতাকা বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বে বাঙালির শাশ্বত অর্জনকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। সেই থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ লাল সবুজের পতাকা ধারণ করে মহাকাশে অবস্থান করছে। একাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের মহেশখালীকে পাওয়ার হাব হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছ। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে টু টাউন ওয়ান সিটি এবং এটা অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশ দিয়ে তৈরি হয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম নয়নাভিরাম মেরিন ড্রাইভ সড়ক।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা টু কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার বর্ডারের ঘুমধুম পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে রেল লাইন। এছাড়াও চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর ভূমি নিয়ে তৈরি হয়েছে দেশের সর্ব বৃহৎ ইন্ডাসট্রিয়াল পার্ক বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর। দেশে একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শিল্পায়নে ভূমিকা রাখছে বর্তমান সরকার।
কুচকাওয়াজে আনসার-ভিডিপি, নগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বয়েজ স্কাউট, গার্লস গাইড ও বিএনসিসির সদস্যরা অংশহগ্রহণ করে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এর আগে সোমবার রাতে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে একাত্তরের ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত স্মরণ করে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নগরের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলনে অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরেআলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।