অনলাইন ডেস্ক
৮১ বছর বয়স হিসেবে মোটেই কম নয়। এ সময় অনেকের জন্য স্বাভাবিক চলাফেরাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু যদি শোনেন এই বয়সের এক ব্যক্তি ফিটনেস বা শরীরচর্চা প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন, তাহলে নিশ্চয় চমকে উঠবেন। অবিশ্বাস্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রের এই বয়সী এক শরীরচর্চা প্রশিক্ষকের খোঁজ মিলেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর বা শরীরচর্চা প্রশিক্ষক হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তাঁর।
টিম মিনিক নামের এই ব্যক্তি টেক্সাসের অস্টিনে বাস করেন। সেখানকার গোল্ডস জিমে প্রতিদিন একাধিক ক্লাস করান তিনি। ৭৩ বছর বয়সে তাঁর ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট পান তিনি।
সবচেয়ে বেশি বয়সের শরীরচর্চা প্রশিক্ষক হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬৫ বছর বয়সী ওয়েন্ডি ইডা থেকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস খেতাব কেড়ে নিয়েছেন তিনি।
ন্যাশনাল একাডেমি অব স্পোর্টস মেডিসিন থেকে সার্টিফিকেট পাওয়ার পর মিনিক একজন প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিজেকে সুস্থ, সক্রিয় রাখতে তিনি এমন একটা কিছু খুঁজছিলেন।
‘আমি এমন একটা কিছু করতে চাইছিলাম, যাতে নিজের কাছে মনে হয় অন্যদের জন্য কিছু করেছি।’ বলেন মিনিক।
মিনিক জানান, তাঁর সব বয়সী ছাত্র আছে। এদের বেশির ভাগের বয়স ৫০-এর বেশি। সবচেয়ে বেশি বয়সী যিনি প্রশিক্ষণ নেন, তাঁর বয়স ৯৫।
৮১ বছর বয়সে রেকর্ড বুকে নাম উঠেছে টিম মিনিক। ছবি: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস৮১ বছর বয়সে রেকর্ড বুকে নাম উঠেছে টিম মিনিক। ছবি: গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
‘আমরা ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সে পেশি হারাতে শুরু করি। আপনি যদি একে ঠিকঠাক রাখার জন্য কাজ না করেন, ৭৫ বছর বয়সে ভালো অবস্থায় থাকবেন না মোটেই।’ বলেন মিনিক, ‘এটি আমার মতে একটি বিমা পলিসি কেনার মতোই, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতার বিরুদ্ধে বিমা।’
সূত্র: ইউপিআই ডট কম, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস