অনলাইন ডেস্ক
চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জেনে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ১০ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (১৭) এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা এক কোচিং শিক্ষককে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত ছাত্রী এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত কোচিং শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসান (২১) কক্সবাজারের মহেশখালীর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা মহেশখালী দক্ষিণ শাখার কুতুবজোম ইউনিয়ন শাখার সভাপতি।
পুলিশ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা থানায় এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর রোডে ‘শিক্ষাশালা’ কোচিং সেন্টারে পড়ে। এ সময় ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হামিদ মোস্তফা জিসানকে আসামি করে একটি ধর্ষণের মামলা করেন। মেয়েটির বাবা এজাহারে উল্লেখ করেছিলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়েটি অসুস্থবোধ করলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়। পরে ওই মেয়েটি বাসায় গিয়ে ঘুমের ওষুধ খায়।’
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। মামলায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আমরা মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আইসিইউতে থাকায় মেয়েটির জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। পরে গতকাল রোববার জানতে পারি মেয়েটি আইসিইউতে থাকাবস্থায় মারা গেছে। আমরা তার লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম করেছি।’