স্পোর্টস ডেস্ক
চলমান বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বেই প্লে অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অপেক্ষা ছিল চতুর্থ দলের। অবশ্য চতুর্থ দল হিসেবে বরিশালের খেলাও অনেকটা নিশ্চিত ছিল। তবে কাগজে-কলমে সুযোগ ছিল খুলনা টাইগার্সেরও।
খুলনার উঠতে সমীকরণ এমন ছিল, কুমিল্লার বিপক্ষে বরিশালকে হারতেই হবে আর দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে জিততে হবে খুলনাকে। এক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল রানরেট। এই দিক দিয়ে বরিশাল ছিল অনেক এগিয়ে। তবে দিনের প্রথম ম্যাচেই সব সমীকরণ মুছে দিল বরিশাল। তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে নিশ্চিত করল প্লে অফ।
কুমিল্লার দেওয়া ১৪১ রানের লক্ষ্য টপকাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক তামিম। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৮ বলে ৬৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় নান্দনিক এই ইনিংস সাজান বরিশাল অধিনায়ক। যদিও শেষের দিকে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল বরিশাল। শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ২৮ রান। তবে শেষের দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১১ বলে ১২) ও সৌম্য সরকার (৩ বলে ৬) সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এনে দেন জয়।
এর আগে জাকের আলীর ঝড়েও ১৪০ রানে থামে কুমিল্লা। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে কুমিল্লা। ২৪ রানের মাথায় প্রথম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন সুনীল নারাইন। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও ৪০ রানের মধ্যে লিটন দাস ও মাহিদুল ইসলাম অংকনকেও হারায় কুমিল্লা। প্রথম উইকেট ওবেড ম্যাককয় নিলেও পরের দুইটি নেন তাইজুল ইসলাম।
চতুর্থ উইকেটে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয় ও মঈন আলী। ৭৬ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে ভাঙে সেই আশা। ২৬ বলে ২৫ রান করে ম্যাককয়ের বলে ফেরেন তিনি। এরপর ধারাবাহিকভাবেই পড়তে থাকে কুমিল্লার উইকেট। একশ রানের আগেই ফেরেন মঈন (২৩), আন্দ্রে রাসেল ও ম্যাথু ফোর্ড।
এরপর শুরু হয় জাকেরের একার লড়াই। আরেক পাশে মোহাম্মদ এনামুল থাকলেও রনা আসছিল মূলত জাকেরের ব্যাটেই। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ফেরেন তিনিও। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান জাকের। ১৬ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান তোলে কুমিল্লা।
বরিশালের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে সফল তাইজুল। ৩ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। বল হাতে সফল শেষের দিকে বিপিএল খেলতে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট তার। ২টি উইকেট পেলেও ম্যাককয় রান দিয়েছেন ৪০।