আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন বলে দাবি করা হয়েছে। পিটিআইএর ব্যারিস্টার গহর দাবি করেছেন, ১৫০টির বেশি আসনে স্বতন্ত্ররা এগিয়ে রয়েছেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন বলছে- পিকে-৭৬ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল্লাহ খান ১৮ হাজার ৮৮৮টি ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে পিকে-৬ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজল হাকিম খান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৩০ ভোট। তারা দুজনই পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এদিকে ভোটের পুরো ফল ঘোষণায় কেন এমন বিলম্ব হচ্ছে জানতে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে তাতে কোনো সাড়া দেয়নি ইসিপি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পরও ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ভোট গণনা নিয়ে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ফল ঘোষণায় এমন বিলম্ব অস্বাভাবিক। কারণ পাকিস্তানের অতীতের নির্বাচনগুলোতে কখনোই এতো বিলম্ব হয়নি। রাত ফুরাবার আগেই বোঝা যায় কোন দল বিজয়ী। তবে এবারে চিত্রটা ভিন্ন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভোটের ফল আসছে খুব ধীরগতিতে।
টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি নিউজ পোর্টাল ও অন্যান্য প্লাটফর্মে বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে তিন ধাপে। অস্থায়ী ফলাফল, ফলাফল সমন্বয় এবং ফলাফল ঘোষণা।
এর আগে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) নিঘাত সাদিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রিজাইডিং অফিসারদেরকে শুক্রবার দুপুর ২টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনের ফলাফল পাঠাতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।